ইংল্যান্ডের ২৩৯ রানের জয়

দিনের শুরুতেই জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। তবে তাদের সামনে বড় বাধা ছিলেন ডিন এলগার। প্রোটিয়াদেরকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এই ব্যাটসম্যান যদি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখেন, তাহলে তো ইংল্যান্ডের বিপদ।

উল্টো দিকে জয়ের জন্য ৪৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা রীতিমত অসম্ভব একটি ব্যাপার। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে জিততে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। চতুর্থ দিন শেষ করে তারা সেই চার উইকেটে ১১৭ রানে। ডিন এলগার ৭৪ এবং টেম্বা ভাবুমা ব্যাট করছিলেন ১৭ রানে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই আগের দিনের সঙ্গে ১৫ রান যোগ করে (মোট ৩২) আউট হয়ে যান ভাবুমা। ডিন এলগার ৭৪ রানকে নিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হয়ে যান। শেষ দিকে ভারনন ফিল্যান্ডার ২৪ রান করে আউট হন। কেশব মাহারাজ ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

কিন্তু লাঞ্চের পর ইনিংসের ৭৮তম ওভারে গিয়ে আসল কাজটি করে বসেন মঈন আলি। প্রথমে ৭৬তম ওভারের ৫ম বলে ডিন এলগারকে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মঈন আলি। এরপরের সেই স্টোকসের হাতেই কাগিসো রাবাদাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। ৭৮তম ওভারের প্রথম বলে এসেই মরনে মর্কেলকে এলবিডব্লিউ আউটে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট ২৫২ রানে। দারুণ এক হ্যাটট্রিকে ইংল্যান্ডের ২৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে দেন মঈন আলি। মোট ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার। এছাড়া নতুন বোলার টবি রোল্যান্ড জোন্স নেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিলেন ৮ উইকেট। ২ উইকেট নেন বেন স্টোকস এবং ১ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড।

এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ এবং শেষ টেস্ট শুরু হবে ৪ আগস্ট ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।