ধর্ষণ ও মাথা ন্যাড়ার দায়ে কাউন্সিলর রুমকিসহ সাতজন রিমান্ডে
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের পর মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আরও ছয় আসামিসহ সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
এই ঘটনায় রুমকির বোন ও ঘটনার মূল হোতা বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বরখাস্ত হওয়া আহ্বায়ক তুফান সরকারের স্ত্রী আশা, রুমকির মা রুমি ও বাবা জাহিদুলসহ বাকি ছয় আসামিকে দুদিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলেন তুফান সরকারের গাড়ি চালক জিতু, সহযোগী মুন্না ও নাপিত জীবন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি তুফান সরকার ও তার সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তার মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ধর্ষণ করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার এবং এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। শুক্রবার বিকেলে তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনার তুফান ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে তুফান ও শহরের চকসূত্রাপুর কসাইপট্টির আলী আজম ওরফে ডিপু এবং কালীতলা এলাকার রূপমকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আর আতিকুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়নি।