শেফ সঞ্জীব কাপুরের ‘খানা খাজানা’ থেকে ‘গানা-বাজানা’
গত শুক্রবার রাতে মঞ্চে শেফ সঞ্জীব কাপুরকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করা গেল। রান্নাঘরের চৌহদ্দিতে নয়, ভারতের প্রথম তারকা শেফকে দেখা গেল মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে রীতিমতো গান গাইতে। আবার কিছুক্ষণ পরে ড্রাম বাজাতেও দেখা গেল তাঁকে। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ত্যাজল্যান্ডস অ্যান্ড হোটেলে আয়োজিত ‘সিইও অ্যাওয়ার্ড ১৭’-এর মঞ্চে অত্যন্ত জনপ্রিয় শেফ সঞ্জীব কাপুর প্রমাণ করলেন যে রাঁধে, সে গানও গায় আবার সুযোগ পেলে খুন্তি ছেড়ে ড্রামও পেটাতে পারে।
‘খানা খাজানা’ থেকে ‘গানা-বাজানা’ সফরের রেসিপি কী সে সম্পর্কে সঞ্জীব কাপুর মুচকি হেসে বুকে হাত রেখে বলেন, ‘শুধু ভালোবাসা। রান্নাটা অন্তর থেকে করি, আর গানও গাই ভালোবেসে।’ ‘খানা’ ও ‘গানা’র উপকরণ কী? শেফের জবাব, ‘গানের যেমন সুর, তাল, লয় আছে, রান্নারও একই উপকরণ আছে।’ গানের জন্য কখনো তালিম নিয়েছেন কিনা জানাতে গিয়ে সঞ্জীব কাপুর বলেন, ‘রান্না যেমন সে অর্থে শিখিনি; খেলার ছলে রান্না শিখেছি। গানটাও তাই। গুনগুন করতে করতে কখন দেখছি একটু-আধটু গাইতেও পারছি।’
‘গানা’-র সঙ্গে অবধারিত ভাবে উঠে এল ‘খানা’-র প্রসঙ্গ। চিরাচরিত সেই প্রশ্ন, কোথাকার ইলিশ প্রিয়, পদ্মার না গঙ্গার? শেফের জবাব, ‘বাংলাদেশে অনেকবার গিয়েছি। “কস্তূরী”-র খাবার লা-জবাব লেগেছে। ওপার বাংলায় আমার নিজেরও “খানা খাজানা” বলে রেস্তোরাঁ আছে। সত্যি বলতে, বাংলাদেশের মতো সুস্বাদু ইলিশ বিশ্বের কোথাও খাইনি। ইলিশ মাছ শুধু ভেজে দিলেও খেতে অসাধারণ লাগে। আর তেমনি মিষ্টতা লুকিয়ে আছে চিংড়ি মাছের মধ্যে। আমি সবাইকে বলি, বাংলাদেশে গিয়ে একবার ইলিশ এবং চিংড়ি খেয়ে এসো। আমার মনে হয়, স্বাদের দিক থেকে গঙ্গার থেকে পদ্মার ইলিশ এগিয়ে। তবে কলকাতার মিষ্টি আবার সবচেয়ে সেরা।’
শেফ সঞ্জীব কাপুর আবারো প্রমাণ করলেন গঙ্গার থেকে পদ্মার ইলিশ এগিয়ে।