বান্দরবানে পাহাড় ধসে নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার

অতি বর্ষণে বান্দরবানে আবারো পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় ভাঙ্গা রাস্তা পারাপারের সময় পাহাড় ধ্বসে ৫ জন নিখোঁজ হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ৩ জন’কে জীবিত উদ্ধার করেছে। রোববার সকালে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে দুপুর ৩টার দিকে নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে চিং মে মারমা (১৮) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ১২জুন টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ১০০ মিটার সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেনা বাহিনীর দীর্ঘদিন কাজ করে লোকজনকে হেঁটে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করে দেয়। আজ সকাল ১১টার দিকে রুমা ও বান্দরবান উভয় দিক থেকে ২টি যাত্রীবাহি গাড়ী ঐ এলাকায় পৌছায়। গাড়ীর যাত্রীরা ভাঙ্গা ঝুকিপুর্ন রাস্তাটি পার হওয়ার সময় পাহাড় ধসের কবলে পড়ে ৮জন যাত্রী। ৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ৫জন পাহাড় ধসের মাটির শ্রোতে গভীর পাহাড়ী খাদে চলে যায়। নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে দুপুর ৩টার দিকে রুমা এলাকার বাসিন্দা চিং মে মারমা (১৮) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। পাহাড় ধ্বস অব্যাহত থাকার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকায় উদ্ধার কাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রীগেডিয়ার জেনারেল মো: যোবায়ের সালেহীন, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়’সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। বান্দরবানের মৃত্তিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বান্দরবানে ৭৮ মি:মি: বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

পরিবহন শ্রমিক স্বপন দাস বলেন, গতমাসের ১২ জুন অবিরাম বর্ষণে বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেনাবাহিনী কয়েকদফায় পাহাড়ের মাটি সরানোর চেষ্টা করলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পারেনি। তবে সড়কের দু’পাশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিধস্ত ভাঙ্গা সড়ক পায়ে হেটে যাত্রীরা গাড়ী পরিবর্তন করে চলাচল করে আসছিল।

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি