আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে: ত্রাণমন্ত্রী

দেশে আরও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, ‘দেশে আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।’

সোমবার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে তিনি একথা বলেন। ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে; ত্রাণের কোনও ঘাটতি নেই। সুতরাং আপনারা ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।’ নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা বীর, লড়াই করে বাঁচতে জানেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার নামে বিদেশ গিয়ে কী করে, আল্লাহই জানেন।’ পরে মন্ত্রী বন্যা কবলিত চিলমারী ইউনিয়নের এক হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর উলিরপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে তিনি চিলমারী ত্যাগ করেন।রবিবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের গৃহনির্মাণের জন্য পাঁচশ’ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বরাদ্দ কুড়িগ্রামে পৌঁছে যাবে।’

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রমসহ অনেকে।

 

মোঃ মনিরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি